ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ , ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​৭ টিপসে অফিস মিটিংয়ে দুর্দান্ত আপনি

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১৬-০১-২০২৫ ০১:১৫:১০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৬-০১-২০২৫ ০১:১৬:৩৯ অপরাহ্ন
​৭ টিপসে অফিস মিটিংয়ে দুর্দান্ত আপনি প্রতীকী ছবি
নতুন অফিসে জয়েন করেছেন। আর এর কদিন পরই অফিসের মিটিং! কী করবেন কী বলবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না? জেনে নিন মিটিংয়ে কনফিডেন্ট থাকার সাতটি টিপস এন্ড ট্রিকস।

১. সময় নিয়ে রিসার্চ ও প্র‍্যাকটিস করুন
যে বিষয় নিয়ে কথা বলবেন, তা সম্পর্কে অবশ্যই আগে থেকে ভালোভাবে জেনে নিবেন। এতে করে কীভাবে কথা বলতে হবে, সে বিষয়ে আগে থেকেই প্রিপারেশন নেওয়া যাবে। যেমন ধরুন, হতে পারে মিটিং এ আপনি একটা নতুন আইডিয়া দিতে যাচ্ছেন। আগে থেকে প্রস্তুতি নিলে এই আইডিয়াতে সাফল্যের সম্ভাবনা কতটুকু, কী কী বাধা আসতে পারে, কতদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা যেতে পারে এসব সম্পর্কে প্রোপার রিসার্চ ও ক্যালকুলেশন করে নিতে পারবেন। এতে করে যখন মিটিংয়ে কথা বলবেন, আপনার আলোচনা বেশ ভালো ভিত্তি পাবে এবং অন্যান্যদের তুলনায় আপনি অনেকটা এগিয়ে থাকবেন।

২. ঠিকঠাক ড্রেস কোড
যেকোনো অকেশনের জন্য প্রোপার ড্রেসিং মানে হচ্ছে অর্ধেক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলা। কর্পোরেট মিটিংয়ে আউটফিট পারফেক্ট হলে কনফিডেন্স বেড়ে যায় কয়েকগুণ। চেষ্টা করবেন ফরমাল ড্রেস কোড মেনটেইন করতে। এমন পোশাক পরবেন যা আপনার জন্য অস্বস্তিকর না হয়, আবার খুব ক্যাজুয়ালও না হয়। কালারের ক্ষেত্রে হালকা কালারগুলোই বেশি স্যুইটেবল। স্যুট, ব্লেজার, সালওয়ার কামিজ, শাড়ি যাই পরুন না কেন, তা হবে পরিপাটি। মেকআপ হবে মার্জিত কিন্তু ব্যক্তিত্বপূর্ণ। ঠিকঠাক ভাবে তৈরি হতে পারলে আয়নায় তাকিয়ে দেখতে পাবেন, আপনার কনফিডেন্স নিজে থেকেই কতটা বেড়ে গেছে।

৩. প্রশ্ন করার অভ্যাস
অফিসের মিটিংয়ে মনোযোগ দেওয়া ও প্রশ্ন করা জরুরি। তাই কারো কথা বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই প্রশ্ন করবেন। এতে কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ প্রকাশ পাবে। একই সাথে সপ্রতিভ হয়ে যেখানে দরকার সেখানে মতামত দিতে পারেন। এতে শুধু নিজের কাজ নয়, অফিসের সব গুরুত্বপূর্ণ দিকেই যে আপনার আগ্রহ আছে, তা স্পষ্ট হবে। জড়তা কাটিয়ে কয়েকটা প্রশ্ন করে ফেলতে পারলেই আপনার কনফিডেন্স ফিরে আসবে, তা নিজেই টের পাবেন।

৪. মিটিংয়ে জয়েন করুন সময়ের আগেই 
অনেক সময় যেটা হয়, অফিসের মিটিং রুম বা মিটিং স্পেসটা শুধুমাত্র স্পেশাল অকেশনে ব্যবহার করা হয়। এর ফলে সেই জায়গাটা কেন্দ্র করে তৈরি হতে পারে অস্বস্তি। এটা কাটাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে আসুন, মিটিং স্পেসটা ঘুরে দেখুন, কলিগদের সাথে কথা বলুন। এতে করে আস্তে ধীরে জড়তা কেটে যাবে, দেখবেন আগের মত দমবন্ধ অথবা নার্ভাস লাগছে না। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি ও অপরিচিত পরিবেশকে এভাবে নিজের মতো করে কমফোর্টেবল করে নিতে পারলে তা আপনার কনফিডেন্স এমনিই বাড়িয়ে দেবে আর আপনার পারফরম্যান্সকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।

৫. নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন
মানুষ নার্ভাস হয়ে প্রথমেই যেসব চিন্তা করে, সেগুলোর মধ্যে একটা হলো, তিনি হয়তো অন্যদের মতো দক্ষ বা মেধাবী নন। এ ধারণা আমাদের মনে দ্বিধার জন্ম দেয়, তাই নিজের উপর প্রথমেই বিশ্বাস রাখতে হবে। অফিস মিটিংয়ে কী বলবেন তা ঠিক করে নেয়া, কনফিডেন্সের সাথে সেগুলো প্রেজেন্ট করা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের উপর পূর্ণ আস্থা রাখা। আপনি যোগ্য বলেই এখানে আছেন এবং আপনার যোগ্যতাই আপনাকে সামনে নিয়ে যাবে, এ ধরনের পজিটিভ মাইন্ডসেট রাখতে হবে। মনে রাখবেন, আপনাকে কনফিডেন্ট দেখেই অন্যরা আপনাকে ভরসা করবেন।

৬. পজিটিভ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ
ড্রেসিংয়ে সঙ্গে সঙ্গে বডি ল্যাঙ্গুয়েজও পজিটিভ রাখতে হবে। আপনার পজিটিভ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পুরো পরিস্থিতিই চেঞ্জ করে দিতে পারে। শরীর সোজা রেখে কাঁধ টানটান রাখা, মনোযোগের সাথে আগ্রহী চোখে মিটিং অ্যাটেন্ড করা, এগুলোই পজিটিভ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, যা মিটিংয়ে সিচুয়েশন বুঝে অ্যাপ্লাই করতে হবে।

৭. নিজস্বতা ধরে রাখুন
নিজেকে জোর করে অন্য কারো মতো দেখানোর চেষ্টা করার দরকার নেই। আপনার নিজস্ব পার্সোনালিটি ও ট্যালেন্ট যাতে প্রকাশ পায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। আপনার নিজস্ব চিন্তা ধারা, কাজকর্ম ও পার্সোনালিটি আপনাকে অন্য সবার চাইতে আলাদা করবে এবং প্রত্যেকের চোখে আপনার একটা নিজস্ব পরিচয় তৈরি করবে।

অফিস মিটিং বা গেট টুগেদারের ভয় অবশ্য একদিনেই কেটে যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন অভ্যস্ততা ও সঠিক প্র‍্যাক্টিস। এই টিপসগুলো ফলো করুন, দেখবেন কনফিডেন্স কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে!

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ